করোনাভাইরাসের প্রতীকি ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮১৯ জনে।

এ সময়ে নতুন করে ৭১৮ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৪ হাজার ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৯৪টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৯টি নমুনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৬৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ ১৭ হাজার ৪১৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৬ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, নারী ছয় জন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং অন্যজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

যারা মারা গেছেন তাদের ১০ জন ঢাকা বিভাগের, দুজন সিলেটের। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহে একজন করে মারা গেছেন।

করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৩৭ জন পুরুষ। নারীর সংখ্যা এক হাজার ৮৮২ জন। তাদের মধ্যে চার হাজার ২৯৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও এক হাজার ৯৭১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯০৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এখন পর্যন্ত যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের মধ্যে চার হাজার ৩২৬ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৩৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪০ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এফআর