দেশে গত দুই দিনে আরও ১৬৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট নয় হাজার ৫৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৯০ জন।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএমএ জানায়, নয় হাজার ৫৩ জনের মধ্যে চিকিৎসক তিন হাজার ৭৯ জন, নার্স দুই হাজার ২৩৫ জন, আর অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন তিন হাজার ৭৩৯ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ জুলাই পর্যন্ত করোনা ও উপসর্গ নিয়ে তিন ডেন্টাল সার্জন এবং ১৭১ জন চিকিৎসক মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল চিকিৎসক ২৩ জন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৭৬ জন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত ৭ জন, বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স ৬৪ জন এবং আর্মি মেডিকেল কলেজে কর্মরত একজন রয়েছেন। 

এছাড়া ডেন্টাল চিকিৎসকদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা দুই জন এবং বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার রয়েছেন একজন।

করোনায় দেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ১৫ এপ্রিল। ওইদিন মারা যান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ (৪৭)। রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. এজেএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। গত রোববার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রবীণ এ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

টিআই/জেডএস/জেএস