রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রামে মঙ্গলবার রাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর আগ্রাবাদ, সিডিএ, হালিশহরসহ নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

চট্টগ্রাম নগরীর সিডিএ ২২ নম্বর সড়কের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে সিডিএ এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। পানির মধ্যেই হেঁটে বা অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত আমাদের এ রকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ফখরুল ইসলাম নামে এক বাসিন্দা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু এর সুফল এখনো সিডিএর বাসিন্দারা পায়নি। জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

জলাবদ্ধতা সম্পর্কে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহেশখালে স্লুইসগেট বসানোর কাজ চলছে। এটি শেষ হয়ে গেলে আগ্রাবাদ, সিডিএ, মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকায় আর পানি উঠবে না। স্লুইসগেটের যন্ত্রপাতি, পাম্প ও জেনারেটর দেশের বাইরে থেকে আসার কথা। কিন্তু লকডাউনের কারণে আসতে দেরি হচ্ছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে জারি করা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

কেএম/এসকেডি/জেএস