করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৮ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। 

২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট প্রকল্প ছিল ৮৫টি। প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা বরাদ্দের ৯৮ শতাংশ।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। এ সাফল্য অর্জন খুবই সন্তোষজনক। আমাদের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সবাইকে মন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামীতে এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষিতে পড়ছে। অন্যদিকে মানুষ বাড়ছে, নগরায়ন-শিল্পায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চলমান কোভিডের প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে অত্যন্ত সচেতন ও সাবধান হতে হবে যাতে করে স্বল্প প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেও কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যায়। চলতি অর্থবছরে যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে তার সফল বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে মন্ত্রণালয়ের মোট ৮৫টি প্রকল্পের ৯৮ শতাংশ  বাস্তবায়ন হয়েছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। চলমান বছরেও এ সাফল্য ধরে রাখা ও তা আরও এগিয়ে নিতে প্রকল্প পরিচালকদের তিনি তাগাদা দেন।

সভায় সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। 

এসএইচআর/জেডএস