আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার নামে তিনটি মামলা দায়ের করা হলো। 

শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে পল্লবী থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৫, ৫৫, ৭৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করে।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দোকান

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, এর আগে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের চারটি ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়াই মিরপুরে হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন পরিচালনা করছিল। র‌্যাব-৪ এর অভিযানে সেটি সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।

হেলেনা জাহাঙ্গীর টেলিভিশনটির কর্মী ও সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন। এ ধরনের একটি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ফোনালাপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অভিযানে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার মঈন।

এর আগে গত শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, অপকৌশলের মাধ্যমে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লী মাতা’ ও ‘প্রবাসী মাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন হেলেনা। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্রটি এসব ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত। তিনি বিভিন্ন দেশি সংস্থা ও ব্যক্তি থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে নিজের খেতাব প্রচার প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযানের পর তাকে আটক করা হয় এবং তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়। 

গুলশান থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শুক্রবার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ শাহানুর আলম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জেইউ/জেডএস