কারখানা শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার বিড়ম্বনা কমাতে কঠোর বিধিনিষেধে বাস চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও পথে পথে ছিল ভোগান্তি।

একদিকে যাত্রীরা বলছেন, বাসের দেখা মিললেও স্বাস্থ্যবিধির অজুহাতে ওঠা যায়নি। আবার ওঠার সুযোগ পেলেও বাসের ভেতরে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি। অন্যদিকে বাস চালকদের অভিযোগ, রাস্তায় চলাচলের অনুমতি পেলেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ যাত্রী।  

রোববার (১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। স্বল্প সময়ের জন্য বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও অনেক বাস মালিকই সড়কে পরিবহন নামাননি।

রাজধানীর রামপুরা ও মালিবাগ এলাকায় রাইদা ও ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক ও হেলপারের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা যায়।

ভিক্টর ক্লাসিক বাসের চালক মিরাজ দাবি করেন, সকালে থেকে রাস্তায় গাড়ি বের করে নির্দিষ্ট রুটে বাস চালাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি।

অন্যদিকে রামপুরা বাজার কাছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী মালেক খান বলেন, রাস্তায় বাস দেখা গেলেও প্রায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়েও বাসে উঠতে পারিনি। বাসের সংখ্যা খুব কম। অধিকাংশ বাসে গেট বন্ধ করা ছিল।

শনিবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ ও বাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছে। সে অনুযায়ী সব কারখানাগুলো বন্ধ থাকার কথা ছিল।

তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পরই দেশের প্রতিটা অঞ্চল থেকে দলে দলে ঢাকাতে ফিরতে শুরু করেন শ্রমিকরা। তবে গণপরিবহন না থাকায় তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। পরিস্থিতি এড়াতে শনিবার রাতে লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

আরএম/ওএফ