করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে একদিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন দুই চিকিৎসক। তাদের একজন স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতা এবং অন্যজন হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ।

এ নিয়ে গত দুইদিনে কোভিডে চার চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। আজ (মঙ্গলবার) (৩ আগস্ট) চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

বিএমএ জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ (মঙ্গলবার) আনুমানিক দুপুর দেড়টায় রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাষ্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাক্তন সিভিল সার্জন ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রাজবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতা।

আর বিকেল ৩টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ।

ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। সর্বশেষ তিনি বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন হিসাবে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। আর ডা. শামীম আহমেদ ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিএমএ’র আজীবন সদস্য ছিলেন।

এর আগে গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদ এবং টাঙ্গাইল জেলার শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জাকিয়া রশিদ শাফি।

বিএমএ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এই পর্যন্ত ১৭৭ জন চিকিৎসক ও তিনজন ডেন্টাল সার্জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল চিকিৎসক ২৫ জন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৭৭ জন, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত ৭ জন, বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স ৬৭ জন এবং আর্মি মেডিকেল কলেজে কর্মরত একজন রয়েছেন। 

এছাড়াও ডেন্টাল চিকিৎসকদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা দুই জন এবং বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স রয়েছে একজন।

এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮০ জন চিকিৎসক। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ৮৫৯ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮২ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার। আর তৃতীয় অবস্থানে ৩৪৯ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন সিলেট বিভাগে।

টিআই/এনএফ