পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় আসিয়ান নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (৬ আগস্ট ) আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের ২৮তম সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আঞ্চলিক ইস্যু বি‌শেষ ক‌রে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিকায়ন, সাইবার নিরাপত্তা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সমস্যা সম্পর্কে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।

২৮তম আশিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রুনাই‌য়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাটো এরিওয়ান পেহিন ইউসুফ। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৬টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। 

ড. মোমেন এআরএফ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপে বাংলাদেশের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। 

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা সম্পর্কেও মোমেন সভায় উপস্থিতদের অবহিত করেন। তিনি প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে নেতাদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এবং অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এআরএফের গতিশীল নেতৃত্বে, এ অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সুশাসন এবং শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত র‌চিত হ‌বে ব‌লে প্রত্যাশা ব‌্যক্ত ক‌রেন।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা সংক্রান্ত বিষয়ে ড. মো‌মেন টিকা‌কে জনগণের সম্পদ হিসেবে অভিহিত করেন। তি‌নি বলেন, টিকার প্রযুক্তি সবার মধ্যে সমভাবে বণ্টণ হওয়া উচিত। একইস‌ঙ্গে তি‌নি সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা উৎপাদনের ওপরও জোর দেন। 

রো‌হিঙ্গা ইস‌্যু‌তে ড. মো‌মেন ব‌লেন, মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। ৬ হাজার ৮০০ একর সার্বভৌম বনভূমি আপস করে বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। এ অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমনের মো‌মেন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। 

এআরএফের সদস্য দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একমত প্রকাশ করেন। তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এনআই/আরইচ