আটকের পর পরীমণিকে বাসা থেকে বের করা হচ্ছে/ ফাইল ছবি

তিন দিনের মাথায় ৪র্থ সংস্থা হিসেবে পরীমণির মামলার তদন্তভার নিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। শনিবার রিমান্ড চলাকালীন সময়ে তাকে হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি।

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পরীমণিসহ মডেল মৌ আক্তার, পিয়াসা ও রাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার ও মামলার ডকুমেন্টস বুঝে পেয়েছে সিআইডি। পরীমণিসহ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির কাছে রয়েছেন। 

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, শুক্রবার (৬ আগস্ট) আমরা আসামি ও মামলা বুঝে পেয়েছি। সবেমাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সুতরাং, এই মুহূর্তে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের বলা মুশকিল। 

তিনি বলেন, সিআইডিতে যেকোনো তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়। আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এর জন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। ইতোমধ্যে সিআইডির হেফাজতে থাকা আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। 

পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক কারবার, পার্টি ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের বিষয়গুলো কীভাবে আপনারা প্রমাণ করবেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা সময় সময় আপনাদের জানাব। 

পরীমণির এমন অপকর্মে প্রভাবশালীরা অনেকেই জড়িত রয়েছেন, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন? জানতে চাইলে শেখ ওমর ফারুক বলেন, প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

এআর/এইচকে