নায়িকা পরীমণি ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের একসঙ্গে সময় কাটানোর প্রশ্নে একে ‘অনৈতিক’ কাজ বলে অভিহিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যদি এমন কিছু হয়ে থাকে আমরা তদন্ত করে প্রমাণ পেলে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

শনিবার (৭ আগস্ট) মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে তিন দিনের মাথায় ৪র্থ সংস্থা হিসেবে পরীমণির মামলার তদন্তভার পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। শনিবার রিমান্ড চলাকালীন সময়ে তাকে হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি।

জানা গেছে, সাভারের বোট ক্লাবে ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় পরীমণি যে মামলা করেছেন সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন গোলাম সাকলায়েন। সেই পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় একাধিকবার যাতায়াতও করেছেন পরীমণি। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময় গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরাও করেছেন। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত।

সম্প্রতি সাকলায়েনের বাসায় যাতায়াতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। এমন একটি ফুটেজ ঢাকা পোস্টের হাতেও এসেছে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, ১ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরীমণির সাদা রংয়ের হ্যারিয়ার গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৫ ৯৬ ৫৩) নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের রাজারবাগের অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের ৯/সি নম্বর সরকারি ফ্ল্যাটে বাসায় আসেন। প্রথম সেই গাড়ি থেকে লাল রংয়ের টি-শার্ট পরে বের হন সাকলায়েন। সাদা রংয়ের একটি স্লিপিং গাউন পরে নামেন নায়িকা পরীমণি। সেই রাতে সোয়া ২টায় বাড়ি থেকে বের হন পরীমণি। তবে রাতে বের হওয়ার সময় পরীমণির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক আর সাকলায়েনের গায়ে সাদা টি-শার্ট।

সম্প্রতি ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদেও পরীমণি সাকলায়েনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে কথা স্বীকার করেন। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুও এ সম্পর্কে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। 

ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, সাকলায়েন নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মামলার তদন্তের সময় পরীমণির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু সাকলায়েন বিবাহিত, বিষয়টি জানার পর পরীমণি ও তার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে দীপুর উদ্যোগে পরীমণির সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। গত কোরবানি ঈদের সময় পরীমণির বাসায় তিন দিন ছিলেন সাকলায়েন। তখন বাসায় তারা ছাড়া আর কেউ ছিল না।

এআর/জেডএস