হেলেনা জাহাঙ্গীরে

বিতর্কিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তল্লাশি অভিযান চালায়। একই সময় চিত্রনায়িকা পরীমনি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বাসাও তল্লাশি চালায় সিআইডি। 

অভিযানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ও বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়। তবে অন্যান্যদের বাসা থেকে কোনো মালামাল জব্দ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি সিআইডি।

শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে তল্লাশি শেষে অভিযানে অংশ নেওয়া সিআইডির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।

তল্লাশিতে অংশ নেওয়া সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, নায়িকা পরীমনি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ ও হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় একযোগে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ও বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

প্রয়োজনে আবারও তল্লাশি করা হতে পারে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা।

এর আগে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ তল্লাশি শুরু হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান বলেছিলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতেই তার বাসায় তল্লাশি করা হচ্ছে। 

গত ২৯ জুলাই মধ্যরাতে হেলেনার গুলশানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। চার ঘণ্টার অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেকবই, বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং ক্যাসিনো খেলার ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়। 

পরদিন গুলশান থানায় দুটি মামলা করে হেলেনাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। অপর মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

একই রাতে পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীর বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ‌‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ইমনের ফোন নম্বর দিয়ে পদ প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। ওই পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার জেরে ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এমএসি/ওএফ