বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত না করা গেলে এটি এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আসিয়ান জোটের সহযোগিতা চেয়েছেন।

রোববার (৮ আগস্ট) ৫৪তম আসিয়ান ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এ সহযোগিতা চান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আমি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের নিজ ভূমি রাইখানে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যত দেরি হবে শুধু বাংলাদেশ নয়, এটি আসিয়ানের জন্যও অর্থনীতি, নিরাপত্তা, পরিবেশসহ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। আসিয়ানের উচিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা।’

ভার্চুয়াল আলোচনায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার ও আসিয়ান ঢাকা কমিটির চেয়ার হাজনাহ মো. হাশিম ও ব্রুনেই দারুস সালামের ঢাকায় নিযুক্ত হাইমিশনার হাজি হারিস হাজী ওথম্যান বক্তব্য রাখেন।

আসিয়ানের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক প্রধান বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘ভৌগোলিক নৈকট্য, ঐতিহাসিক সংযোগ, সভ্যতা অভিন্নতা এবং সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আসিয়ানের অন্যতম শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে। বাংলাদেশ আসিয়ান দেশগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক আমদানির উৎস হতে পারে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় সঙ্গে আমাদের আকাশ যোগাযোগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’

আসিয়ান বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করতে পারে, যা আসিয়ান দেশগুলোর জন্য নেপাল, ভুটান এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের স্থলবন্দী দেশগুলির প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে।’

ড. মোমেন জানান, আগামী বছর আসিয়ানের অধিকাংশের সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যথাযথ উৎসবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে ঢাকা।

এনআই/জেডএস