প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণে গঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে শিক্ষকদের নাবালক, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানরাও অনুদান পাবেন। এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অধ্যাদেশকে বদলে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এককালীন চাঁদা দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের এ ট্রাস্টের সদস্য হতে হয়। এরপর শিক্ষকদের পাশাপাশি তাদের পোষ্যরা এখান থেকে সুবিধা পাবেন।

আইনে নতুন একটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো শিক্ষক মারা গেলে তার নাবালক, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানেরা এই ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাবেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অনুদান হিসেবে কিছু দিলে ট্রাস্ট তা গ্রহণ করতে পারবে। বিধি দিয়ে বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

ট্রাস্টি বোর্ডে তিন বছরের জন্য আট জন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন বলেও জানান তিনি। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হবেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। আর ভাইস চেয়ারম্যান হবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাদের পােষ্যদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা, সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় উপবৃত্তি, পােষ্যদের কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণে সহযােগিতা, মৃতদেহ পরিবহনে যৌক্তিক খরচ প্রদান, আকস্মিক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ শিক্ষকদের কল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করছে এই ট্রাস্ট। মূলত শিক্ষকদের কাছ থেকে বার্ষিক নির্ধারিত চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এসএইচআর/জেডএস