ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কালো অধ্যায়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য কল্যাণ সমিতির এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় ঢামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢামেক পরিচালক বলেন, আগামীকাল (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করবে। এবারও করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢামেক হাসপাতালের বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ডা. আজিজ আহমেদ খান (শীশ) জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেছে। কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর হলেও অন্যান্যরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। তাদেরকে ধরে এনে ঘৃণিত এই কাজের জন্য বাংলাদেশের মাটিতে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। 

ঢামেক হাসপাতালের বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ওয়ার্ড মাস্টার মো. আবুল বাশার সিকদার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। তাদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ডা. আজিজ আহমেদ খান (শীশ), সদস্য সচিব ওয়ার্ড মাস্টার মো. আবুল বাশার সিকদার, ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, আবাসিক সার্জন (গাইনী) ডা. রাজীব ও আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালিটি) ডা. আলাউদ্দিনসহ ঢামেক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এসএএ/ওএফ