রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। সেখানে তারা স্লোগান দিয়ে মিছিল করছেন। সোমবার বিকেলে তারা অবস্থান নেন। এ সময় সড়কে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪০ জন গ্রাহক মোটরসাইকেল নিয়ে গুলশান-২ মোড়ে আসেন। পরে তারা সেখান থেকে তারা গুলশান-১ এর দিকে চলে যান।

বর্তমানে তারা গুলশান-১ এবং ২ নম্বর এলাকার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।

নেহাল নামে এক গ্রাহক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স সাইট থেকে বাইক, মোবাইলসহ নানা পণ্য অর্ডার করেছিলাম। আমরা সরকারের ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশের আগে ই-অরেঞ্জের ডাবল টাকা ভাউচার কিনেছিলাম। কর্তৃপক্ষ গত ১৬ মে (সম্ভাব্য তারিখ) থেকে সব ডেলিভারি বন্ধ রেখেছে। ১৮ জুলাই ই-অরেঞ্জ একটি ডেলিভারি ডেট প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে লকডাউনের দোহাই দিয়ে ডেলিভারি বন্ধ করে দেয়। পরে জানায় লকডাউন শেষ হলে ডেলিভারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। লকডাউন শেষ হওয়ার আগের দিন ১০ আগস্ট তারা আবার নতুন করে ১৬ আগস্ট ডেলিভারির তারিখ প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, আমরা তাদের অফিসে গিয়ে আপডেট জানতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করে। পরে গুলশান থানার কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা এলে কর্তব্যরত লোকজন ই-অরেঞ্জের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার কাউছার আহমেদের নম্বর দেন। তাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, আগামী ১৬ আগস্ট ডেলিভারি লিস্ট দেওয়া হবে। ১৭ তারিখ থেকে ডেলিভারি শুরু হবে।

১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জ তাদের অফিসিয়াল পেজে জানায়, পূর্বের বাইক সেলারের তারা সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। তারা নতুন সেলার পেতে বা নিজেরা বাইক ইমপোর্ট করতে ৪৫-৬০ কর্মদিবস লাগবে। তাই যারা বাইক নিতে চান, তাদের অপেক্ষা করতে হবে অথবা রিফান্ড রিকুয়েস্ট করতে হবে। বেশ কয়েকজন গ্রাহক রিফান্ড চেয়ে ফোন করায় তারা ২১ কর্মদিবসের কথা বলে। তখন সরকার নির্ধারিত ১০ দিনের কথা বলায় তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই গ্রাহকরা সড়কে অবস্থান নেন। 

এমএসি/এআর/আরএইচ