রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় গত ২৬ মে জন্ম নেওয়া দুটি বাঘ শাবকের নামকরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ শাবক দুটির নামকরণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এর মধ্যে পুরুষ শাবকটির নাম দুর্জয় ও নারী শাবকটির নাম রাখা হয়েছে অবন্তিকা। 

সোমবার (১৬ আগস্ট) চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে বাঘ শাবকের নামকরণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চিড়িয়াখানাকে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আধুনিক ও বিশ্বমানে রূপান্তর করা হবে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের আদলে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে। এ কাজে সিঙ্গাপুরের কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের সাফারি পার্কের মতো করে রাখা হবে। 

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় ভেতরে আলাদা আলাদা জোন তৈরি করে এক জাতীয় প্রাণী বা পাখিদের একই জোনে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। চিড়িয়াখানা আগের তুলনায় সুসজ্জিত করা হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে, দর্শনার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এভাবে চিড়িয়াখানাকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক পর্যায়ে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পর দেশেই হবে আধুনিক চিড়িয়াখানা।

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার জন্য আমরা আইন প্রণয়ন করছি। ইতোমধ্যে চিড়িয়াখানা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। আইন ও বিধিবিধানের আওতায় দেশের চিড়িয়াখানা পরিচালিত হবে। জাতীয় চিড়িয়াখানায় নতুন দুটি শাবকসহ এখন ১১টি বাঘ রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য পশু-পাখিও পর্যাপ্ত রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে নির্বিঘ্ন পরিবেশ পেয়ে পশু-পাখির প্রজনন বেড়েছে। বাড়তি প্রাণী অন্যান্য চিড়িয়াখানায় দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে ৩৬ লাখ টাকার হরিণ বিক্রয় করা হয়েছে। প্রজনন বাড়ার কারণে চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে উদ্বৃত্ত পাখি সংকুলান করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বিধায় আমরা প্রকৃতিতে কিছু পাখি উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।

এ সময় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, যুগ্ম সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতীফ প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ