শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অবস্থা আগের চেয়ে পাল্টেছে। আগে দালাল ও ওষুধ ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে এসে ব্যবসা করত। বর্তমানে তাদের প্রশ্রয় না দেওয়ায় এসব অনেকাংশে কমেছে।’

সোমবার (১৬ আগস্ট) চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নওফেল বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অপকর্ম করত। এগুলো থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের আহ্বান করব ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য আমরা যেন কোনো অপরাধীকে যেন প্রশ্রয় না দেই। আমি প্রশ্রয় না দিলে হয়ত আরেকজনের কাছে যাবে, ওনি প্রশয় না দিলে আমার কাছে আসবে। সুতরাং আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই যে, এই ক্রিমিনাল চক্রকে প্রশয় দেব না, নিজের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে অথবা ব্যবসায়িক স্বার্থে।’  

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে, উত্তেজিত করে চট্টগ্রামে নোংরা একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি প্রশাসনকে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে এই অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু এরা বিরাজমান। তাই রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আহ্বান জানাব নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অপরাধী চক্রকে ও যারা তাদের হোতা তাদেরকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমরা যেভাবে পারছি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেছি।’

ক্যান্সার হাসপাতাল বানচালের চেষ্টার অভিযোগ করে সাংসদ নওফেল বলেন, ‘এখানে (চমেক হাসপাতাল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ক্যান্সার হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, এখানে কাদা ছোড়াছুড়ি করে সেটাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের সবার প্রচেষ্টা ও সৎ সাহস থাকার কারণে সেটা পারেনি। তবে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে সেটা বানচালের চেষ্টা হয়েছে।’

এর আগে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে হাসপাতালের জন্য ৪০টি মেডিকেল বেড ও ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উপমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএম/ওএফ