উচ্চ আদালতের রায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা পাওয়া স্টেশন মাস্টারদের রায় অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি নামে একটি সংগঠন।

সংগঠনটি বলছে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের রায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পান রেলওয়ের স্টেশন মাস্টাররা। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরেও সে রায় কার্যকর না হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। 

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ১৯৭৭ সালের পে-স্কেলে এক গ্রেড নিচে বেতন নির্ধারণ করায় ২০০৫ সালে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কর্মচারী ইউনিয়ন। ২০১১ সালের ইউনিয়নের পক্ষে রায় দেন আদালত। ওই রায়ে ১৯৭৭ সাল থেকে কর্মচারীদের এরিয়ারসহ পূর্ণাঙ্গ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরপর ২০১৫ সালের ৮ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। পুনরায় রিভিউ পিটিশন দায়ের করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ভিত্তি না থাকায় শুনানি শেষে আদালত মামলা খারিজ করে দেন। ফলে ১৯৭৭ সালে দেওয়া রায় পুনর্বহাল থাকে। কর্মচারীদের এরিয়ারসহ পূর্ণাঙ্গ সুবিধার পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা পান স্টেশন মাস্টাররা। এ রায়ের ফলে সহকারী ও স্টেশন মাস্টাররা দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার পাশাপাশি একধাপ উপরের গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। ইতোমধ্যে অনেক স্টেশন মাস্টার অবসরে গেছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশের মৃত্যুদণ্ড থেকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজার সব রায় কার্যকর হচ্ছে অথচ স্টেশন মাস্টারদের রায় কার্যকর হচ্ছে না। যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

এএসএস/এসকেডি