ঢাকায় এসে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের তৃতীয় এবং চতুর্থ মেট্রো ট্রেন সেট। বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে উত্তরায় ডিপো সংলগ্ন তুরাগ নদীর তীরে স্থাপিত ডিএমটিসিএল জেটিতে পৌঁছায় ট্রেন সেট দুটি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেন সেটের মধ্যে একটি সেট দুপুর ১টায় ডিএমটিসিএলের জেটিতে এসে পৌঁছায়। আরেকটি সেট সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেটিতে পৌঁছায়। মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এজন্য ইতালি থেকে বিশেষ ধরনের যন্ত্র আনা হয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকায় আসা প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন সেটের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। নতুন আসা সেট দুটির আনলোডের কাজ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হবে।

সূত্র আরও জানায়, ট্রেন সেট দুটি গত ২২ জুন জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে জাহাজযোগে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এরপর গত ২০ জুলাই বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে ট্রেন সেট দুটি। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে গত ১২ আগস্ট ৪টি বার্জযোগে মেট্রো ট্রেন সেট দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এগুলো বিভিন্ন নদীপথ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত তুরাগ নদী হয়ে প্রকল্প এলাকার কাছে জেটিতে পৌঁছে।

জানা গেছে, সবমিলিয়ে মেট্রো রেল পরিচালনার জন্য জাপান থেকে আনা হবে ২৪ সেট ট্রেন। এতে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে লম্বালম্বিভাবে যাত্রীদের জন্য আসন রয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে প্রতিটি বগি। আর বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন।

দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত‌। এটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে‌।

ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার যোগান দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা। বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ প্রকল্পের কাজ চলছে।

পিএসডি/এসএসএইচ