ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হলো।  

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আশুরা উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পুরানো ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়ে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নিউ মার্কেট ও জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যায়। শতাধিক যুবক তাতে অংশ নেয়।
 
ঢাকার বাইরে মানিকগঞ্জের শতাব্দীপ্রাচীন গড়পাড়া ইমাম বাড়িতে আশুরার দিন তাজিয়া মিছিলের পরিবর্তে দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর ইমাম বাড়ী থেকে যে বিরাট শোক মিছিল বের হয়ে মানিকগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করত, এবার সেটি বের করা হয়নি। 

এছাড়া এবার কারবালার বেদনাবিধুর ঘটনা প্রচারক কাসেদের দলও বের হয়নি। তবে ইমাম বাড়ির প্রতিনিধিদের অনুমতি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অতি ক্ষুদ্র আকারের দল আশুরার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। করোনার এ সময়ে ইমাম বাড়িতে মিলাদ, ফাতেহা পাঠ, জিয়ারত ও নেয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহম্মদের (সা.) দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বমুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এ আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

এমএইচএন/আরএইচ