মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অবশ্যই হাসপাতালের প্রয়োজন আছে তবে পরিবেশ বিপর্যয় করে নয়। হাসপাতাল নির্মাণ করার জন্য সরকারের আরও অনেক বড় বড় জায়গা খালি পড়ে আছে। সেখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হোক। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থান ও শহরের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সিআরবিতে কোনো হাসপাতাল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন সবুজ আন্দোলনের নেতারা।

সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মো. সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাপ্পি সরদার বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধ করতে প্রয়োজনে রক্ত দিতে প্রস্তুত সবুজ আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অবশ্যই হাসপাতালের প্রয়োজন আছে তবে পরিবেশের বিপর্যয় করে নয়। চট্টগ্রামের সিআরবি ঐতিহাসিক স্থান ও শহরের ফুসফুস হিসেবে  পরিচিত। সংবিধানেও সিআরবিকে ঐতিহ্যবাহী ভবন ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়াও চট্টগ্রামের ডেল্টা উন্নয়ন প্রকল্পে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করা নেই। হাসপাতাল নির্মাণ করার জন্য সরকারের আরো অনেক বড় বড় জায়গা পড়ে আছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে। কাদের স্বার্থে কিংবা কোন পুঁজিবাদীদের খুশি করার জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে তা চট্টগ্রামের জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি নাগরিক সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল না করা হলে গণআন্দোলনে নামবে সবুজ আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

প্রধান আলোচক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছি। বিভিন্ন সংগঠন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করলেও কিছু ব্যক্তি নিজেদের লাভের স্বার্থে হাসপাতাল নির্মাণ করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনতিবিলম্বে বাতিল করে অন্যত্র হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহায়েত করিম বাবুল, আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব স্থপতি শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ ড. মো. খালেদ, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুল্লাহ খান, সুলতানা আয়েশা, সাংবাদিক নুরুল কবির, মাইনউদ্দিন রাহাত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান রাসেল, অধ্যক্ষ মো. জিয়াউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শাওন, মো. সাদ্দাম হোসেন, আজিজুল হাকিম হিরু, মইনউদ্দিন ইমন, অর্থ সম্পাদক এম এ রহিম প্রমুখ।

এসকেডি