দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তদবির, ভয়ভীতি দেখানো কিংবা ঘুষ দাবির মাধ্যমে অর্থ আদায় করে আসছে একদল প্রতারক। 

গত ৯ আগস্টও কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আড়াই লাখ টাকার চেকসহ ইমতিয়াজ আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দুদক।  

এর আগেও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের নামে কল্পিত অভিযোগ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে  একাধিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বেশ কয়েকজন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। 

তারা কখনও দুদকের উপপরিচালক, মহাপরিচালক কিংবা কখনো সচিব পরিচয় দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে, আবার কখনও অর্থের বিনিময়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া অনুসন্ধানের আদেশ কপি বানিয়ে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

প্রতারকদের কাছ থেকে সচেতন হতে শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।  এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদক থেকে কখনও কারও বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তে টেলিফোনে যোগাযোগ বা মৌখিক নোটিশ দেওয়া হয় না। কমিশন তার সব কার্যক্রম লিখিত পত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে। কেউ সন্দেহজনক কোনো টেলিফোন কল পেলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

দুদক জানায়, যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের কর্মকর্তা কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে টেলিফোন করেন বা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কমিশনের কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কোনো বিষয়ে তদবির করেন, তবে টেলিফোনের সত্যতার নিশ্চয়তা এবং প্রতিকার পাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ( মোবাইল নম্বর ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের সঙ্গে (মোবাইল নম্বর- ০১৭১১৫৭৩৮৭৪) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়া দুদকের কল সেন্টারে (১০৬) যোগাযোগ করা যাবে।  

আরএম/আরএইচ