প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) মাধ্যমে গৃহীত প্রকল্পগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির খরচকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশে অর্থায়নের একটি বড় অংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। আমাদের বার্ষিক জিডিপির ৮১ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে, বাকি ১৯ শতাংশ আসে সরকারি খাত থেকে। 

বুধবার (২৫ আগস্ট) পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) সঙ্গে একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) যৌথভাবে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, জলবায়ুজনিত ক্ষয়-ক্ষতির অর্থায়নে বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়গুলোকে সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এসব প্রকল্পে যদি ক্ষয়-ক্ষতির খরচ যুক্ত করা যায় তবে আমরা সহজেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কাজ করতে পারব। 

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। প্যারিস চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যথাযথভাবে ঝুঁকি চিহ্নিত ও ওই ঝুঁকির মূল্যায়নের কথা বলেন।

সেমিনারের সভাপতি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ বলেন, যেকোনো প্রকল্প শুরু করার সময় জলবায়ু পরিবর্তন এবং এ সংক্রান্ত ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত এবং পিপিপিকে একইসঙ্গে অবকাঠামো জলবায়ু প্রতিরোধী কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, সামনেই কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এ সম্মেলন একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমরা আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে কোন ধরনের বার্তা পাঠানো উচিত তা বোঝার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে অগ্রগামী।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক ড. সালেমুল হক বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে, তা মোকাবিলার জন্য আমাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ড্যামেজ মেরামত করা যেতে পারে তবে কোনো কিছুর লস পুনরুদ্ধার করা যায় না। 

পিএসডি/এসকেডি