উদ্ধারকাজ চলছে

চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হাসানুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্ধার অভিযানের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ছালেহ আহমেদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছি। এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছিলাম। রাতে অভিযান বন্ধ ছিল। আজ আমরা শমসেরপাড়া এলাকায় খাল ও নালায় উদ্ধার  অভিযান চালাচ্ছি। ছালেহ আহমেদ যখন নালায় পড়ে যান তখন তীব্র স্রোত ছিল। আমরা আমাদের ডুবুরি দল দিয়ে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বুধবার মুরাদপুর ও বৃহস্পতিবার মুরাদপুর, খতিবেরহাট এলাকার নালায় খোঁজ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পরে মৃতদেহ পানি থেকে ভেসে ওঠে। তাই খাল ও নালার বিভিন্ন অংশে তল্লাশি করা হচ্ছে। 

উল্লেখ, বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় আয়োজন রেস্টুরেন্টের সামনে পা পিছলে নালায় পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থল ওই নালায় কোনো স্ল্যাব ছিল না।

বুধবার এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ছালেহ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি একটি বাস থেকে নেমে নালার পাড় ধরে হেঁটে আসছিলেন। হঠাৎ কোনো কারণে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পা পিছলে নালায় পড়ে যান। এ সময় এক লোক তাকে টেনে ধরতে হাত বাড়িয়েছিলেন কিন্তু ছালেহ আর উঠতে পারেননি।

জানা গেছে, সালেহ আহমদ নগরীর চকবাজারের কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। 

মুরাদপুর এলাকায় নালার ওপর স্ল্যাব না থাকা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, নালার ওপর স্ল্যাব বসানোর কাজ সিটি করপোরেশনের। আমরা নতুন নালা করি, নতুন রাস্তা করি। তারপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করি। 

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নগরীর সব নালা-খালে সিডিএ জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ করছে। তারা এসব কাজ শেষ করে আমাদের বুঝিয়ে দিলে আমরা দায়িত্ব নেব। এখন সব দায় দায়িত্ব তাদের। 

কেএম/এইচকে