শ্রমিক নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, সেলিম মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম শরিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের চাঁদাবাজ ঝুট সন্ত্রাসী সুমন-জাহাঙ্গীর ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে স্থানীয় ঝুট সন্ত্রাসী সুমন এবং জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী হামলা করে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফ এবং রিকশাচালক সংগ্রাম পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক মেহেদি হাসানকে আহত করে মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে এবং কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। ৮ আগস্ট হামলার পরপরই ফতুল্লা থানায় সুনির্দিষ্ট আসামিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের ২০ দিন পরও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি বরং হামলাকারীদের গত ১০ ও ১১ আগস্ট মিথ্যা অভিযােগ দায়েরের সুযােগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এ আচরণ আসামিদের মিথ্যা অভিযােগের অজুহাতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে হয়রানির পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়টি ওই অঞ্চলে কর্মরত কয়েক লাখ পােশাক শিল্প শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই কার্যালয়টি উচ্ছেদ এবং শ্রমিক নেতাদের মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিপ্রায়ে পরিচালিত হামলার অপরাধকে আড়াল করতে হামলাকারী আসামিদের দিয়ে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফের নামে দুইটি মিথ্যা অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা নগর ও বােম্বে সুইটস কোম্পানি লি. শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া, শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা নগরের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, ঢাকা নগর সহসভাপতি আফজাল হােসেন প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি