চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় পা পিছলে খালে পড়ে যাওয়া ছালেহ আহমেদের সন্ধান মেলেনি। তাকে উদ্ধারে পঞ্চম দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর মুন্সী সেকান্দর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। কিন্তু ছালেহ আহমদের কোনো সন্ধান মেলেনি। চশমা খাল ও এর সঙ্গে যুক্ত মির্জা খাল ঘুরে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি নালাগুলোতেও তল্লাশি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, খালে তলিয়ে যাওয়ার দিনই ছালেহ আহমদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি। পানিতে কারও মৃত্যু হলে সাধারণত মরদেহ দু'একদিনের মধ্যেই ভেসে ওঠে। বিষয়টি মাথায় রেখে তল্লাশি চালাচ্ছি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্ণফুলী নদীতেও খোঁজ রাখা হচ্ছে। 

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, ছালেহ আহমদকে খুঁজে না পাওয়ার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, খালে তলিয়ে যাওয়ার দিনই তীব্র স্রোতে ছালেহ আহমদের দেহ কর্ণফুলী নদীতে চলে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, মরদেহ খালের ময়লা ও আবর্জনায় নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় আয়োজন রেস্টুরেন্টের সামনে পা পিছলে নালায় পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থল ওই নালায় কোনো স্ল্যাব ছিল না।

বুধবার এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ছালেহ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি একটি বাস থেকে নেমে নালার পাড় ধরে হেঁটে আসছিলেন। হঠাৎ কোনো কারণে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পা পিছলে নালায় পড়ে যান। এ সময় এক লোক তাকে টেনে ধরতে হাত বাড়িয়েছিলেন কিন্তু তিনি আর উঠতে পারেননি।

সালেহ আহমদ নগরীর চকবাজারের কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। 

কেএম/ওএফ