আকবর হোসেন

চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে থেকে সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকায় পড়ে গুরুতর আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী আকবর হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তাকে ফ্লাইওভারের ওপর মারধর করে নিচে ফেলে দেওয়া হয়।  

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবরের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার এসআই মফিজুর রহমান। 

তিনি বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে আকবর মারা গেছেন। মরদেহ আকবরের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে। তাকে ফ্লাইওভার থেকে মারধর করে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কিছু বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়েছি। তিনি কী কারণে চট্টগ্রাম এসেছিলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে খুলশী থানায়। তাতে পূর্ব শত্রুতার একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সব বিষয়কে সামনে রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। 

তাকে খুন করা হয়েছে নাকি ছিনতাইয়ের ঘটনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি এখনও ক্লিয়ার না। 

আকবরের চাচা মো. হুমায়ুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সে কাউকে কোনো কিছু না বলেই চট্টগ্রামে গিয়েছিল। তাকে খুন করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারধর করে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা জানি না আসলে কারা তার সঙ্গে এমন করেছে। কেনই বা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আকবরের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কথা বলতে পারলে জানতে পারতাম কেন বা কারা তাকে হত্যা করছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে নিচে সিঅ্যান্ডবি অংশে আকবরকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আকবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে পুরান ঢাকার কলতা বাজারের একটি মেস বাসায় থাকতেন। তবে কী কারণে আকবর চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন তার জানা যায়নি।

কেএম/ওএফ