বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহবুব আলী

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মৃত্যু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহবুব আলী। তিনি বলেন, পাইলট নওশাদের জন্য পৃথিবীর যেকোনো দেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। 

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মৃতদের দেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মন্ত্রী কথা বলেন। 

তিনি বলেন, পাইলট নওশাদের অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ওনার মৃত্যু আমাদের বিমান পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় উনার মৃত্যু একটা ভিন্ন মাত্রা বহন করে। 

মন্ত্রী জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হলে বিমানের এমডির সঙ্গে আমি কথা বলেছি‌। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত-যুক্তরাষ্ট্র যেখানে চিকিৎসা ভালো হবে; পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাইলট নওশাদ শুরুতেই সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন। তিনি কোমায় ও লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো ধরনের ত্রুটি করা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী মাহবুল আলী।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। 

ভারতের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে নওশাদ আতাউল কাইউমের মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ওমানের মাসকাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। ভারতের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হন। পরে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

পাইলট নওশাদ সর্বশেষ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ক্যাপ্টেন নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বিমানের আরেকটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করিয়ে ১৪৯ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন।

এনআই/এইচকে