নদীভাঙন রোধে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি
বন্যা নিয়ন্ত্রণে ও নদীভাঙন রোধে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের নেতারা।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। এসময়ে নদীভাঙন রোধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ জলিল।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন্যায় প্রায় প্রতিবছর সারা বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় ফসলসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গরিব মানুষদের অসহায়ত্ব বেড়ে যায়। প্রতি বছরই নদীভাঙনের শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষকে পথে বসতে হচ্ছে।
তারা বলেন, নদীভাঙনে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ জেলার মানুষ ধনসম্পদ, ঘরবাড়ি, ফসল, জমি হারায়। তাতে পরিবারগুলো সর্বহারা হয়ে গৃহহীন হয়ে যায়। এসব সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীকে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে নদীভাঙন রোধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, সারা বাংলাদেশের নদীগুলোর দুই পাড় দিয়ে লম্বালম্বিভাবে মহাসড়ক করতে হবে। নদীর নাব্যতা রক্ষা করার জন্য যে ড্রেজিং করা হয় এই ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে সড়কগুলো করা যাবে। এতে নদীর নাব্যতাও রক্ষা পাবে প্রচুর পরিমাণে পানি রাখা যাবে।
তারা জানান, যেখানে মোড় বা কর্নার পড়বে সেখানে নদীর পাড়ে পাইলিংয়ের মাধ্যমে দেয়াল করতে হবে। নদী পানির স্রোত নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়কগুলো হবে একশ ফুট চওড়া ও উচ্চতা হবে ৫০ ফুট। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলেই ফসলি জমি রক্ষা পারে।
নদীভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমানে নদীভাঙন রোধের জন্য বালির বস্তা, পাথর ফেলায় যে টাকা খরচ হয় তার তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে নদীভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা যাবে। এই সড়কগুলো করা হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হবে ও নদীভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ পাবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, বরিশাল বিভাগ সমিতির সদস্য শহীদুন্নবী ডাবলু, নকিব হকসহ অনেকে।
একে/জেডএস