চলতি মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহ শুরু করতে পারে ভারত। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে টিকা রফতানির বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের সূত্রের বরাত দিয়ে একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সরকার সেরামকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশে টিকা রফতানির প্রস্তুতি নিতে।

ভারত থেকে বাংলাদেশে টিকা রফতানি শুরুর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভারত কখনও বলেনি তারা বাংলাদেশে টিকা দেবে না। কিন্তু কবে থেকে টিকা আসবে সে বিষয়ে দেশটির রফতানি বন্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো দিনক্ষণ পাইনি। তাদের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যেন দ্রুত সময়ে টিকা পায় সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে গত ১৭ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছিলেন, ভারতে সংকট মিটে গেলে বাংলাদেশে টিকা পাঠানো হবে। যখনই সম্ভব হবে বাংলাদেশে টিকা পাঠাবে ভারত। কারণ বাংলাদেশ আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় আছে। বাংলাদেশ টিকা কেনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

সেই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভারত থেকে করোনার টিকা পুনরায় আসতে শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, ফলে আর চালান আসেনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। তবে টিকা না পেলে টাকা ফেরত আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এনআই/এসএসএইচ