শুক্রবার বাদে প্রতিদিন চলছে কার্যক্রম

ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণ ও চ্যানেল পরিষ্কার করা হচ্ছে।

গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম শুক্রবার বাদে প্রতিদিন চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।

এ কার্যক্রমে গত ১০ দিনে জিরানি খাল থেকে ২০ হাজার টন বর্জ্য ও মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া গত ৭ কর্মদিবসে সেগুনবাগিচা ও পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে ৬৪৯ দশমিক ৯৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. বদরুল আমিন বলেন, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল থেকে আমাদের বর্জ্য উত্তোলন ও চ্যানেল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতেও আমাদের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে আমরা পান্থপথ বক্স কালভার্টের ২৯টি পিটের মধ্যে ২৮টি পিটের মুখ হতে বর্জ্য অপসারণ করেছি এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের ১৩টি পিট হতে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, দুই পিটের মধ্যবর্তী অংশে আমরা ড্রেজারসহ নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করলেও কাজটি এখনও বেশ জটিল পর্যায়ে রয়েছে। তাই মেয়ররের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দুই পিটের মধ্যবর্তী অংশ হতে বর্জ্য অপসারণ করতে আমরা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠানের সহোযোগিতা নিয়ে কাজটি করছি।

গত ১০ জানুয়ারি থেকে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ৯ ট্রিপে ৬৫.৫১ টন, ১১ জানুয়ারি পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ১১৬.৬৯ টন, ১২ জানুয়ারি পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১০৭.৭৫ টন, ১৩ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১২০.১৩ টন, ১৫ তারিখে পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৩ ট্রিপে ২২.২৩ টন, ১৬ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ৯৮.০৯ টন, ১৭ তারিখে ১৩ ট্রিপে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১১৯.৫৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারি সাকরাইন উৎসবের জন্য বক্স কালভার্ট দুটি থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং গত ১৫ তারিখে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ ছিল। 

এছাড়াও আজ নগরীর মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা এবং টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁঁষে গড়ে ওঠা পাঁচটি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেন।

একই সঙ্গে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা চারটি ব্রিজ ও ২০টি ভবনের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করেন। 

এএসএস/এইচকে