বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে ই-অরেঞ্জের ব্যাপারে কাজ শুরু করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এ কথা বলেন। 

দুদক সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। বাণিজ্য বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে ই-অরেঞ্জের বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মোট ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।

এরমধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। 

শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন সোহেল রানা। তবে অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আরএম/জেডএস