‘বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। 

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আগেই একটা অধ্যাদেশ ছিল। সামরিক শাসনের সময় যে অধ্যাদেশ ছিল, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন আইন করতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিল আছে। পুলিশ বা বিভিন্ন ইউনিফর্ম সার্ভিসে দুইটা। পুলিশের হলো দশম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত একটা। আর দশম গ্রেডের ওপরে যেটা সেটা আমাদের সরকারি কর্মচারী আইন দিয়ে চলে। কিন্তু তারা আবার এটার মধ্যে পড়ে না। 

সেজন্য এই আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কল্যাণ ফান্ডটা যাতে পায় বা ব্যবহার করতে পারে। সেক্ষেত্রে মাসিক চাঁদা ৮৫ টাকা অথবা বোর্ড থাকবে। বোর্ড যেটা নির্ধারণ করে দেবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানে সাব-ইন্সপেক্টর ও তার অধস্তন (নিচের কর্মকর্তা) যারা থাকবে, তারা সবাই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের মতো যে বোর্ড আছে, সেরকম এখানেও একটা বোর্ড থাকবে। আইজি নিজেই সে বোর্ডের চেয়ারম্যান।  

তিনি বলেন, এখানে কিছু কিছু বিষয় আগেই ছিল, এখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীরা কারা এবং কীভাবে পাবে, সেটা মুসলিম পরিবার আইন বা হিন্দু আইনে যেভাবে আছে, সেভাবেই পাবে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোথাও কোনো এক্সট্রা লোকজন থাকে, পরিবারে কীভাবে বাবা, মা, ভাইরা বা নাবালক থাকে ও বোনরা যদি অবিবাহিত থাকে বা বিধবা থাকবে, এসব জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে, কারা-কারা পরিবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবেন এ জাতীয়। সবকিছু বিধানে থাকবে। আগেও ছিল, জাস্ট আবার নতুন করে নিয়ে আসা হয়েছে। 

বোর্ডের একটা দায়বদ্ধতা থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেসব কর্মচারীরা টাকা-পয়সা নেবে, তা খরচ করা ও সময় সময় বেনিফিট দেওয়ার বিষয়ে দায়বদ্ধতা থাকবে বোর্ডের। 

এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পাদিত সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

এসএইচআর/জেডএস