চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকা থেকে মোহাম্মদ হোসাইন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে তিনটি পাসপোর্টসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, যে তিনটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে তা রোহিঙ্গাদের নামে ইস্যু করা। আনোয়ারা ও নোয়াখালীর সেনবাগের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্টগুলো করা হয়েছে। 
 
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মইজ্জ্যার টেক এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি সময় মোহাম্মদ হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ। 

মোহাম্মদ হোসাইন কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন বাগান এলাকার বাসিন্দা। তিনি পাসপোর্টগুলো নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। হোসাইনও রোহিঙ্গা বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তার তথ্য এখনও যাচাইবাছাই করা যায়নি। 

পুলিশ কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ বলেন, পাসপোর্টগুলোর মধ্যে দুটিতে নাম-ঠিকানা দিয়েছে আনোয়ারার ও একটিতে নোয়াখালীর সেনবাগের। পাসপোর্টে লেখা নাম-ঠিকানার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। কিন্তু ওই ঠিকানায় পাসপোর্টে লেখা নামের কোনো লোকের সন্ধান পাইনি। এছাড়া বাবা-মা হিসেবে উল্লেখ করা নামেও কাউকে পাওয়া যায়নি। ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্টগুলো তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জব্দ করা পাসপোর্টগুলো নিয়ে হোসাইন ঢাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। ধারণা করছি, পাসপোর্টগুলো ট্রাভেল এজেন্সিতে পৌঁছানোর পর প্রক্রিয়া শেষে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি সাজিয়ে বিদেশ পাঠানো হতো।

জানা গেছে, জব্দ করা পাসপোর্টগুলোর মধ্যে দুটি পুরুষের এবং একটি নারীর নামে ইস্যু করা। পাসপোর্টগুলো ২০১৭ সালে ইস্যু করা হয়েছে। 

গ্রেফতার হোসাইনের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে পাসপোর্ট কীভাবে পেয়েছে তা জানা যাবে। 

কেএম/এইচকে