সমাবেশ বক্তব্য রাখেন ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রাণী দাস

সিলেটের সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনটির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এর আয়োজন করা হয়।

উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাংবাদিক একেএম শাহীন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য কাজল দেবনাথ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মাহমুদ, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সহ-সভাপতি অনিক রায়, ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রাণী দাস প্রমুখ। লিখিত বার্তা পাঠিয়ে সংহতি জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।

ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রাণী দাস বলেন, আমার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমার স্বামী। আমি বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমি প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, দ্রুত যেন আমার স্বামীকে মুক্তি দেওয়া হয়। আমি নিজেও অসুস্থ, নিরুপায় হয়ে স্বামীর মুক্তির দাবিতে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। সাত বার জামিন চাওয়ার পরও আমার স্বামীর জামিন পায়নি। যারা অপরাধী তারা নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার স্বামী জামিন পাচ্ছে না। কী অপরাধ ছিল আমার স্বামীর? 

সভাপতির বক্তব্যে জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, আমরা এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাব, আপনারা ঝুমন দাসের মুক্তি দিন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন। বলা হয়েছিল, এ আইনের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না, কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হবে না, কিন্তু এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অপরাধ, তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে যারা দুর্নীতি করছে, লুটপাট করছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ, অন্যায় অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে।

সমাবেশে গান পরিবেশন করেন ঝষজ শিল্পগোষ্ঠীর সদস্য বুলবুল, গণসংগীত পরিবেশন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও চারণ শিল্পীগোষ্ঠী। সেখানে নাটক ‘মোড়ল পুলিশিং’ ইন্ট্রোভাইজেশন (কোনো গান বা নাটকের কিছু শব্দ পরিবর্তন করে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপনা) করে সাস্কৃতিক সংগঠন প্রাচ্যনাট। এছাড়া নাটক ‘রাতের রানি’ পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন বটতলা এবং ‘একটি সাহসী ফুল’ পরিবেশন করে থিয়েটার বায়ান্ন।

এইচআর/ওএফ