বিদেশিদের সাজা শেষের ৩ মাস আগে প্রত্যাবাসন কাজ শুরুর নির্দেশ
দেশের কারাগারগুলোতে থাকা বিদেশি বন্দিদের সাজা শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে তাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে কারা অধিদফতর।
সম্প্রতি এক আদেশে দেশের সব কারা উপ-মহাপরিদর্শক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, জেলারদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আদেশটি জারি করেন কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদেশে তিনি বলেন, কারাগারগুলোতে আটক সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি বন্দিদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বদেশে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব যথানিয়মে পাঠানো হয়ে থাকে। বিদেশি বন্দিদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন দ্রুত শেষ করার জন্য এখন থেকে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তসহ নির্ধারিত কারা বিবরণী ইংরেজিতে পূরণ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব কারা অধিদফতরে পাঠাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কারা সূত্র জানায়, বিদেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর তার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করলে নানা ধরনের জটিলতা দেখা যায়। বন্দি মুক্ত হওয়ার পর প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত সে কোন সংস্থার অধীনে থাকবে সেবিষয়টি নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে বাধ্য হয়ে স্ব স্ব কারাগারকেই তাদের দায়িত্ব নিতে হয়। তাই এখন থেকে সাজা শেষ হওয়ার ৩ মাস আগেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাতে বন্দি মুক্ত হওয়ার পর তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে পাঠিয়ে নিজ দেশে পাঠানো যায়।
একজন বিদেশি বন্দির প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্য তার নাম, কয়েদী নম্বর, নিজ দেশের নাম, অপরাধের ধরণ, সাজার সময়কাল, সাজা দেওয়ার তারিখ, সাজা শেষ হওয়ার তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি তথ্যই কারা বিবরণীতে উল্লেখ করতে হবে।
কারা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পাসপোর্ট, ভিসা, শাস্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়াসহ নানা আইনি জটিলতায় অন্তত ৭ শতাধিক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের অর্ধেকই সাজা শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই ফেসবুকে উপহারের নামে প্রতারণা, হেরোইন, কোকেনসহ মাদক কারবার, ব্যাংকের এটিএম বুথের জালিয়াতি, বিভিন্ন দেশের জাল মুদ্রার কারবার, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, সোনা চোরাচালান, অনলাইনে ক্যাসিনো এবং মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত ছিল।
এআর/এসএম