ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’- এর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রান্তিক পর্যায়ে অর্থ লেনদেনের জন্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করে। করোনার মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে।

তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতিষ্ঠান একচেটিয়া মনোপলি ব্যবসা করে আসছে। যার বিনিয়োগকারী বেশিরভাগই বিদেশি প্রতিষ্ঠান। এটির সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ডাক বিভাগের ‘নগদ’ চালু করে। পরে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নগদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

বক্তারা বলেন, জমা টাকার লভ্যাংশ গ্রাহককে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, বয়স্ক ভাতা, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন খাতের সেবামূলক অর্থ প্রদান করে ইতোমধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এক বছরেই প্রতিষ্ঠানটি সার্ভিস চার্জ বাবদ গ্রাহকদের সাশ্রয়ী করেছেন প্রায় ১ হাজার ৭ কোটি টাকা।

আগামীতে যখন সাশ্রয়ী ও উন্নত সেবা প্রদান করতে সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও সক্রিয় হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, ঠিক তখনই এর মালিকানা নিয়ে বিতর্কমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। সরকার যখন অনৈতিক লেনদেন বন্ধ করতে চায়, তখন এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী সরকার অনৈতিক লেনদেনগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। এই বিষয়টিকে অসৎ উদ্দেশে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলতে চাই, আপনার উদ্বোধনী প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বা যারা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম. এ. জলিল, জাতীয় স্বাধীনতা পরিষদের সহ-সভাপতি ফায়েকুজ্জামান ফরিদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সিএম মানিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. শাহজাহান প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস