কেনাকাটায় দুর্নীতির মামলায় আজিমপুরের মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৭ চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অতিরিক্ত দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কমিশন সভায় এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।

দুদক সচিব বলেন, এই চার্জশিট ছাড়াও আজিমপুর মাতৃসদনে কেনাকাটায় দুর্নীতির আরও তিন মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদনের সাবেক  জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, আজিমপুর মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা, দিলারা আকতার ও ডা. নাজরীনা বেগম এবং সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।

এছাড়া চার্জশিটভুক্ত তিন ঠিকাদার হলেন- মনার্ক এস্টাবলিশমেন্টের মালিক মো. ফাতে নূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল) এবং সান্ত্বনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। সেখানে বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করেছেন। এর মাধ্যমে তারা মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। মামলার পরপরই আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। মামলায় ১৭ জন চিকিৎসক এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের আট জনকে আসামি করা হয়। আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ইসরাত জাহানকে চারটি মামলাতেই আসামি করা হয়। আজ একটি মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরএম/এমএইচএস