নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে জাতীয় আর্কাইভস থেকে তথ্য চাইলে তা পাওয়া যাবে। এছাড়া আর্কাইভস তথ্যের হার্ড কপির পাশাপাশি সফট কপিও সংরক্ষণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সংসদে ১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল-২০২১’ পাস হয়েছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিলটি সংসদে প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গত ৬ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন মন্ত্রী কে এম খালিদ। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনার জন্য ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশ রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য বিলটি আনা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এ মহাপরিচালক ছিলেন না। বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিল খসড়া আইনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিলে গবেষক ও তথ্য সেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য আর্কাইভ ডিজিটাল সেবা বা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিতে নির্দেশনা রয়েছে।

ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গোপন কোনো দলিল না হলে সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আর্কাইভে থাকলে হলে তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে রাখা যাবে।

ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, কিংবা সাংস্কৃতিক তাত্পর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরনো ব্যক্তিগত রেকর্ড আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে।

বিলে বলা হয়েছে, আরকাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল ২০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। রেকর্ড পাচার করলে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে যা ছিল না।

এইউএ/এসএম