সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা দাবি
বিশ্বের সব দেশেই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রয়েছে। জাতীয় রাজনীতির নানা হিসেব-নিকাশের কারণে তাদের কঠিন সংকট মোকাবিলা করে বেঁচে থাকতে হয়। তাই এ সংকট মোকাবিলায় অতিদ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চা।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক রানা দাশগুপ্ত এসব দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
ঐক্যমোর্চার অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— অনতিবিলম্বে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করা; অনতিবিলম্বে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন করা; পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোর ভূমি রক্ষায় স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন ও রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৭ ধারা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ জারি করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে রানা দাশগুপ্ত বলেন, সংখ্যালঘুদের বহুমুখী সংকট থেকে উত্তরণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বেশ কয়েকটি অঙ্গীকার করা হয়েছিল। ইশতেহারের ৬৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছিল— অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে। সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি, জলাধার ও বন এলাকায় অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভূমি কমিশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞাপন
ইশতেহারে আরও অঙ্গীকার করা হয়- অনগ্রসর ও অনুন্নত-ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা বাগান শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা এবং সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে। সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক সকল প্রকার আইন ও অন্যান্য অন্যায় ব্যবস্থার অবসান করা হবে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের অধিকারের স্বীকৃতি এবং তাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ ও তাদের সুষম উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ এসডিজির মূল সুর নির্ধারণ করেছে, কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। অর্থাৎ সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও আমরা এ দেশের ধর্মীয়-জাতিগত আদিবাসী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ঐক্যমোর্চার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এমএইচএস