করোনা মহামারির মধ্যেও সাংবাদিকদের পাশে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, অতীতের সরকারগুলো কেউ এভাবে এগিয়ে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গঠন করে দিয়েছেন। এটা কিন্তু অতীতে কেউ চিন্তা করেনি। অতীতের সরকারগুলো সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চান সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যেন দেশকে তুলে ধরা যায়। জনগণ যেন দেশের বাস্তব চিত্র জানতে পারে।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা সময় নেগেটিভ নিউজ বেশি আকর্ষণীয় সংবাদ হতো। ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশকে যে প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সাহসিকতার সঙ্গে দেশকে পৃথিবীতে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। সে মর্যাদা ও অহংকারকে ধরে রাখাতে আমরা কিন্তু আপনাদের সাংবাদিকতার মধ্যেও সেই প্রতিফলন দেখতে পাই।

সাংবাদিকদের সাহসিকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন দেখতে পাই পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তখন সাংবাদিকরা সরকারকে সাহস যুগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতাকে আপনারা অনুপ্রাণিত করেছেন। এই অনুপ্রাণিত করা শুধু এখনই নয়; বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, মানবতাবিরোধী হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।

করোনা মহামারিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে আশঙ্কা করেছিল বাংলাদেশে ২/৩ কোটি মানুষ করোনায়, অনাহার-অর্ধাহারে দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কারণে সে অবস্থা তৈরি হয়নি। অনেকে চেয়ে ছিল দেশে সেরকম অবস্থা তৈরি হোক। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস