‘আমার টাকার কী হবে, কার কাছে যাব? এতদিন তো ভেবেছি, টাকা দেবে। গ্রেফতার না হলে রাসেলের বাসায় অথবা অফিসে যোগাযোগ করা যেত। কিন্তু এখন কার কাছে যাব। টাকা না পেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, ইভ্যালির সিইও রাসেলের বাসার সামনে উপস্থিত এক গ্রাহক। শুধু তিনিই নন, তার মতো ইভ্যালির হাজারো গ্রাহকের মনে এখন এমনই উৎকণ্ঠা আর প্রশ্ন। 

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) গ্রেফতার করায় গ্রাহকদের মাঝে পণ্য কেনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গ্রাহকদের দাবি, টাকা যেন ফেরত পান তারা। প্রয়োজনে রাসেলকে আরও সময় দেয়া হোক। নইলে আইনি জটিলতায় টাকা ফেরত নাও পেতে পারেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) অভিযান চালিয়ে রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। 

অভিযানের সংবাদ শুনেই রাসেলের বাসার সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন ইভ্যালির গ্রাহকরা। এরপর তারা স্লোগান দিতে থাকেন ‘রাসেল ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’। রাসেলকে নিয়ে যেতে র‌্যাবকে বাধা দেন তারা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

উপস্থিত এক গ্রাহক কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি তিন লাখ টাকার চেক পেয়েছি। এখন রাসেলকে গ্রেফতার করা হলো। এখন আমার টাকার কী হবে। আমরা তো এতদিন আশায় ছিলাম যে টাকা ফেরত পাব। কিন্তু তিনি যদি কারাগারে থাকেন, তাহলে তো আর টাকা ফেরত নাও পাওয়া যেতে পারে। এখন কী করব, কোথায় যাব?’

একে/আরএইচ/জেএস