আস্থা রেখে পাশে থাকতে গ্রাহকদের আহ্বান জানিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। একইসঙ্গে বিনিয়োগ পাওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘সম্মানিত গ্রাহক, ডিজিটাল বাংলাদেশের সহযাত্রী হিসেবে ইভ্যালির এই পথযাত্রায় আমরা এগিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণে আমরা নিজেদের নিবেদন করেছি পুরোটাই। স্বপ্নপূরণের এই যাত্রায় বিজনেস ডেভেলপমেন্ট  ও ইকমার্সকে সাধারণের কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করতে গিয়ে কিছুটা আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমরা এই ঘাটতি পূরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

এতে আরও বলা হয়, ‘এরই লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। সময় ও সুযোগ পেলে একাগ্রতা ও সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন নীতিমালার আলোকে এই ঘাটতি পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরো কয়েক মাস প্রয়োজন ছিল। ইভ্যালির ওপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’ 

এর আগে বৃহস্পতিবার ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র‍্যাব। 

আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর- ১৯। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা (ইভ্যালি) দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাকের। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।

এসএইচআর/এইচকে