বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সীমান্ত স্থাপনাসমূহের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্টে একটি নতুন যাত্রী টার্মিনাল ভবন (১) উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা যৌথভাবে ভবনটি উদ্বোধন করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।

হাইকমিশন জানায়, টার্মিনাল ভবনটি ভারতের পক্ষে উদ্বোধন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রায় ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিশীথ প্রামাণিক। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর আইসিপি পেট্রাপোল বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এটি ভারতের নবম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর, যা বছরে প্রায় ২৩ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়। ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্মিত, নতুন এক হাজার ৩০৫ বর্গমিটারের এ টার্মিনাল ভবনটিতে যেকোনো সময়ে ৫৫০ জন যাত্রীকে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। 

ভবনটি যাত্রীদের চলাচল ঝামেলামুক্ত ও সহজতর করবে। একই ছাদের নিচে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, কাস্টম এবং সুরক্ষা সুবিধা দিয়ে সজ্জিত এটি। ভবনে ৩২টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, চারটি কাস্টমস কাউন্টার এবং আটটি সুরক্ষা সেবা কাউন্টারের পাশাপাশি অন্যান্য অংশীদারদের জন্য পর্যাপ্ত কার্যালয় রয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছে এ বছর। সব বিশিষ্ট অতিথি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার এবং প্রয়োজনীয় আধুনিক অবকাঠামো স্থাপনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যাতে মানুষে মানুষে যোগাযোগ আরও সহজ হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পেট্রাপোলে একটি অত্যাধুনিক যাত্রী টার্মিনাল ভবন (২) নির্মাণ করছে যাতে পাঁচ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরেই এর কাজ শেষ হবে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি সাধারণ দ্বিতীয় কার্গো গেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে শক্তিশালী সীমান্ত সংস্থা সমন্বয়ের একটি উদাহরণ হিসেবে পদক্ষেপটি একটি উন্নত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সীমান্তে পণ্যছাড়করণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও সংযোগ আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এনআই/আরএইচ