করোনা মহামারিতে বিভিন্ন সেক্টরে কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে গেছে অনেক যুবক। এতে তাদের মধ্যে বেড়েছে হতাশা। এসব যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ও বেকার ভাতার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব শক্তি।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচি থেকে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ যুব শক্তির প্রধান উপদেষ্টা হানিফ বাংলাদেশি বলেন, দেশে বেকার সমস্যা মহামারি আকারে ধারণ করেছে। মহামারিতে সে সমস্যা আরও বেড়েছে। দেশে বর্তমানে শুধু শিক্ষিত বেকার ৭৪ লাখ। এছাড়াও প্রশিক্ষিত চাকরিচ্যুত, বিদেশ ফেরত সব মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি যুবক বেকার জীবনযাপন করছে।

বাংলাদেশ যুব শক্তির সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, করোনাকালে সরকার দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কিন্তু অসহায় বেকার যুবকদের জন্য কোনো প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়নি। অবিলম্বে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করে হতাশাগ্রস্ত যুবকদের জন্য বেকার ভাতা ও নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সমাজের মূল স্রোতধারায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা দাবি জানাই।

এ সময় বাংলাদেশ যুব শক্তির পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, শিক্ষিত-প্রশিক্ষিত করোনাকালীন চাকরিচ্যুত ও বিদেশ ফেরত বেকার যুবকদের মধ্যে যারা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় তাদের সহজ শর্তে সহজ কিস্তিতে বিনা সুদে ঋণ দিতে করতে হবে।

বিদেশ যেতে ইচ্ছুক যুবকদের সরকারি খরচে বিদেশ পাঠাতে হবে। যাওয়ার পর কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চাকরি করতে ইচ্ছুক বেকার যুবকদের জন্য সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে তড়িৎ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনাকালীন চাকরিচ্যুতদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে, আবেদন ফি মওকুফ করতে হবে ও চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বেকার ভাতা দিতে হবে।

কর্মসূচিতে বাংলাদেশ যুব শক্তির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আলম চৌধুরী, মীর মোজাম্মেল হোসেন মিলন, নাহিদ রহমান পুতুল, মো. সৌরভ, এন ইউ আহমেদ, মো. শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।

এএসএস/এমএইচএন/এমএইচএস