১৫ গ্রামে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করবে সরকার। এই প্রকল্পের টেকনিক্যাল প্রজেক্ট শিগগির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এটা বাস্তবায়নে আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করেছি। একটি টেকনিক্যাল প্রজেক্ট করেছি। সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে প্রজেক্ট অনুমোদন হয়ে যাবে। এরপর আমরা ১৫ গ্রামে পাইলট প্রজেক্ট করব।

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্প দীর্ঘসময় ধরে চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ যাবে, সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে, আধুনিক পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা হবে। শিক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হবে।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। কৃষি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের মাধ্যমে লাভজনক করা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, ব্যাংকিং সিস্টেম সম্প্রসারণ হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা হবে, সামগ্রিকভাবে উন্নত জীবনযাত্রার জন্য যা মানুষের জন্য প্রয়োজন সেসব কিছুই রাখা হবে।

তিনি বলেন, কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও যাদের সঙ্গে পরস্পরের কাজের ধরনের মিল আছে, তাদের নিয়ে কয়েকটি সাব কমিটি করা হয়েছে। ক্লাস্টারও করা হয়েছে। এই কমিটিগুলো ঘন-ঘন মিটিং করবে, তাদের করণীয়গুলো ঠিক করবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সহযোগিতা করবে। এটিই আজকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

এসময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ অঙ্গীকার ছিল- প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা বাড়ানো হবে। এই উদ্দেশ্যে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শিরোনামের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গত ৪ অক্টোবর কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ওই কর্মশালায় ৭টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যার মধ্যে গ্রামীণ যোগাযোগ, গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার, গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি স্পেস ও বিনোদন ব্যবস্থা, উপজেলা উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ পাইলট গ্রাম প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। এ কর্মপরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হলে তিনি তা অনুমোদন করেন। 

এসএইচআর/ওএফ