সেজান জুস কারখানার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক কারণ উদঘাটনের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সেজান জুস কারখানায় শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিকপক্ষ ও কর্তব্য অবহেলার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তি দিতে হবে। মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনা ও রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের হারকে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ক্ষতিপূরণের একই হারে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অগ্নিকাণ্ডের পরে ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকা অবস্থায় কর্মহীন শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের মালিকানাধীন হাসেম ফুড লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় আগুনে ৫৪ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ও শ্রমিকের মৃত্যু এটাই প্রথম নয়। এ যাবত ছোট বড় প্রায় ২৫০টি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধস, বয়লার বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন ঘটনায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিকের মৃত্যু এবং ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক আহত হয়েছেন।

তারা বলেন, এসবের মধ্যে রানা প্লাজা ধস ও তাজরিনের ঘটনা বিশ্বকে নাড়া দিলেও কর্মক্ষেত্র শ্রমিকের জন্য নিরাপদ হয়নি। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের জীবনহানির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অতীতের প্রতিটি দুঃখজনক ঘটনার পর বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশিত না হওয়ার ফলে ঘটনার সঠিক কোনো কিছুই জানা যায় না। কোনো ক্ষেত্রেই শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিক পক্ষের কাউকে শাস্তি পেতে দেখা যায়নি। বরং একটি ঘটনার রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতে আর একটি ঘটনায় শ্রমিকের জীবনহানি ঘটে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুজ্জামান বাদশা, নূরুল আমিন, শাকিল আক্তার চৌধুরী, আহসান হাবিব বুলবুল, শামীম আরা, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ