রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ ও এহসান গ্রুপের মতো ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) যুব পার্টির নেতারা।

তারা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করেন সংগঠনের নেতারা। 

এবি যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে ও যুবনেতা ইলিয়াস হোসাইনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব বিএম নাজমুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির সহকারী সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার সাদাত টুটুল ও শাহ আব্দুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, আমরা মনে করি ইভ্যালি বা এহসান গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান এমনি এমনিই লুটপাটের রাজ্য কায়েম করতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দেশের মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে তারা এ লুটপাটের রাজ্য কায়েম করেছে। আমরা সরকারের নিকট দাবি জানাই দ্রুত সব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা। কিন্তু আজ রাষ্ট্র লুটেরাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার লুটপাট, ডেসটিনি, ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে লুটপাট, ধর্মকে পুঁজি করে এহসান গ্রুপের লুটপাট সবই একটি দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রতিচ্ছবি। আমরা এবি পার্টি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতিকে সামনে এনেছি। এবি যুব পার্টি আজ যে উদ্যোগ নিয়েছে এটি আমাদের পার্টির একটি চলমান আন্দোলন। দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় সর্বদাই আমরা মাঠে সচেষ্ট থাকব।

সভাপতির বক্তব্যে এবিএম খালিদ হাসান বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাকি করছি অবিলম্বে ভুয়া সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে এবং দায়ীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এমআই/এসকেডি