‘ইভ্যালির রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসার সুযোগ দিন’
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো— রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসা করার সুযােগ দিতে হবে; এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার পূর্বে অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি দিতে কমপক্ষে ৬ মাস সময় দিতে হবে; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভােক্তাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে; করােনাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাতের মতাে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলােকে প্রণােদনা দিতে হবে; ই-কমার্স সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানটির একজন ক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, আমরা ইভ্যালির সিইও রাসেল ভাই ও তার স্ত্রীর মুক্তি চাচ্ছি। গতকাল একটি টেলিভিশনে উনি বলেছেন, যত দ্রুত উনি মুক্তি পাবেন তত দ্রুত আমাদের ব্যাকলগগুলো ক্লিয়ার করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, উনি আমাদের যে কমিটমেন্ট করেছেন সে কমিটমেন্ট অনুসারে আমাদের পণ্যগুলো আমাদের দিয়ে দেবেন। আমরা ক্রেতা এবং বিক্রেতা যারা আছি সবাই তাকে সময় দিচ্ছি। এ বিষয়ে কিন্তু ভোক্তা অধিকারে মামলা করছি না। কারণ উনি বিজনেস করতে এসেছেন এবং বিজনেস করার চিন্তা আছে বলেই আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আজকে সঙ্গে করে অর্ডারের ইনভয়েসগুলো নিয়ে এসেছি। কারণ আমাদের আন্দোলনে অনেকেই বলছে আমরা নাকি রাসেল ভাইয়ের পক্ষে কথা বলছি। বিষয়টা ঠিক না, আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই এখানে উপস্থিত আছি, আমাদের প্রত্যেকেরই অর্ডার ডকুমেন্ট আছে।
মানববন্ধনে অনেকের হাতেই প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। সেখানে লেখা ছিল— 'বিলিভ ইন ইউ ইভ্যালি; রাসেল ভাইয়ের স্বপ্ন বৃথা হতে দেবো না; উই লাভ ইভ্যালি; মুক্তি চাই মুক্তি চাই, স্বপ্নদ্রষ্টার মুক্তি চাই; সেইভ রাসেল, সেইভ ইভ্যালি ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আরিফ বাকের গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেন। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন আরিফ বাকের।
এমএইচএন/এসকেডি