ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধামাকা অফার নিয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ইভ্যালি নিয়ে অনেকেই এখন কথা বলছেন। প্রতিষ্ঠানটি অসম্ভব সব বিজ্ঞাপন দিয়ে হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য বিক্রি করেছে।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এসএমপি বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১২ আগস্ট একটি ঈদ ধামাকা অফার দেখলাম, যেখানে কম মূল্যে পণ্য বিক্রির অফার দেওয়া হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে কমিশনে শুনানি করলাম। শুনানি শেষে ইভ্যালিকে তথ্য চেয়ে চিঠি দিলাম। চিঠির জবাবে তারা কিছু তথ্য দিল, কিছু দিল না। এরপর আমরা তাদের ধামাকা অফার বন্ধ করি। কিন্তু বিষয়টি সেভাবে মিডিয়া কভারেজ হলো না। সেদিন ওই ঘটনায় মিডিয়া কভারেজ হলে আজ পর্যন্ত হয়ত অনেকেই সচেতন হতে পারতেন, তাদের (ইভ্যালি) দৌরাত্ম থামত। এরপর আবার শুনানি নিয়ে একই বিষয়ে তদন্ত করতে দেওয়া হলো। সেই তদন্ত শেষ পর্যায়ে।

আক্ষেপ প্রকাশ করে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্সগুলো অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। অথচ এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেনি।

আলোচনায় অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ টেলিযােগাযােগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টেলিকম সেক্টরে একক আধিপত্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এসএমপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। যার মাধ্যমে টেলিকম সেক্টরে একক আধিপত্য কমে আসে। এ কারণেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক অল্পসংখ্যক গ্রাহক নিয়ে বাজার প্রতিযােগিতায় এখনো টিকে রয়েছে। কিন্তু বিপুল সম্ভাবনাময় ও সর্বাধিক অর্থ লেনদেন করা এ সেবায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এখনো কোনো পলিসি বা গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিযােগিতা সমন্বয় করতে কোনাে দিকনির্দেশনা বা নিয়ন্ত্রণ না থাকার ফলে প্রতিযােগিতা করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় একে অপরের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ বা অপপ্রচার করে। প্রতিযােগিতায় দ্বিতীয় অবস্থানে যেতে ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) নগদ সার্ভিস চার্জ কমিয়ে, সেন্ড মানি ফ্রি, সম্পূর্ণ ফ্রি-তে বিল পে, গ্রাহকদের সেভিংসের সর্বোচ্চ মুনাফাসহ আরও অনেক সুবিধা দিয়েছে। এর মাধ্যমেই আমরা বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে এ সেবায় বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা দরকার।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত মৈত্র, বাংলাদেশ সেলফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি